, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ , ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


তদন্ত কমিটি গঠন

মসজিদের ফ্লোরের নিচে থেকে উঠছে উত্তপ্ত গরম, নামাজ আদায় বন্ধ

  • আপলোড সময় : ১৬-০৮-২০২৩ ০৬:০০:৩৪ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৬-০৮-২০২৩ ০৬:২১:৫৪ অপরাহ্ন
মসজিদের ফ্লোরের নিচে থেকে উঠছে উত্তপ্ত গরম, নামাজ আদায় বন্ধ
আসাদুল ইসলাম সবুজ, লালমনিরহাট থেকে: লালমনিরহাটে একটি মসজিদের ভিতরে পাকা মেঝের নিচে থেকে ওঠা উত্তপ্ত অস্বাভাবিক গরমে নামাজ আদায় বন্ধ করে দিয়েছে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ। যা তদন্তে ৯ সদস্য কমিটিও গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।

জানা গেছে, লালমনিরহাট শহরের গোশালা রোডস্থ বাটা মোড়ের রাস্তার পশ্চিমে মসজিদে খাজা বাবা নামের একটি ওয়াক্তিয়া মসজিদ রয়েছে। ওই মসজিদের ভিতরের মেহরাবসহ ১০ থেকে ১৫ ফিট জায়গা জুড়ে ৪/৫ দিন ধরে মেঝের উপর দিয়ে সবসময় অস্বাভাবিক গরম ছুটছে। সেখানে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে মুসল্লিদের জনমনে ভীতিকর অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। খবর পেয়ে দুর্ঘটনা এড়াতে ইতিমধ্যে নামাজ আদায় বন্ধ করে দিয়েছি লালমনিরহাট ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ। মসজিদ বারান্দায় টাঙ্গিয়ে দেয়া হয়েছে নোটিশ।

অপরদিকে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি সরেজমিনে তদন্তের জন্য ৯ সদস্যের কমিটি গঠন করে দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। ওই মসজিদের মুসল্লি ও মসজিদ সংলগ্ন চায়ের দোকানদার মজিবর রহমান (৫০) জানান, ৪/৫ দিন ধরে সবসময় মসজিদের ভিতর অস্বাভাবিক উত্তপ্ত গরম ছুটছে। দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করা যাচ্ছে না। বর্তমানে মসজিদ বন্ধ রয়েছে।

মসজিদের মুসল্লি ও বই ব্যবসায়ি বাদশা মিয়া বলেন, মসজিদের জায়গায় পুরাতন রেলওয়ের কার্যক্রম চলছিল, আমার মনে হয় মসজিদের মাটির নিচে রেলওয়ের বৈদ্যুতিক পিলার রয়েছে। সেই বৈদ্যুতিক পিলারের গোঁড়া দিয়ে পাকাকরন মেঝের উপর দিয়ে সবসময় অস্বাভাবিক গরম ছুটছে বলে ধারণা করছি আমরা এই মসজিদের মুসল্লীরা।

লালমনিরহাট গোশালা রোডস্থ সম্মিলিত ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোকছেদুর রহমান এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠনের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মসজিদের পাকা মেঝের উপর দিয়ে ৪/৫ দিন যাবত সবসময় অস্বাভাবিক গরম ছুটছে। সেখানে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায়ে জনমনে ভীতিকর অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে নামাজ আদায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে প্রশাসন বিষয়টি তদন্ত করছে আসা করছি দ্রুত এর সমস্যার সমাধান হবে।
 
সর্বশেষ সংবাদ
‘গণহত্যার জন্য যাদের অনুশোচনা নেই, তারা রাজনীতি করারও অধিকার হারিয়েছে’

‘গণহত্যার জন্য যাদের অনুশোচনা নেই, তারা রাজনীতি করারও অধিকার হারিয়েছে’